Bihar: অপহরণ করে পুড়িয়ে মারা হল তরুণ সাংবাদিককে

News Desk: দেশের সব রাজ্যেই সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ যেন এক স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু সব ধরনের আক্রমণের নজির ছাপিয়ে গেল বিহারে। সেখানে বুদ্ধিনাথ ঝা…

20211114 121431 0000

News Desk: দেশের সব রাজ্যেই সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ যেন এক স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু সব ধরনের আক্রমণের নজির ছাপিয়ে গেল বিহারে। সেখানে বুদ্ধিনাথ ঝা (buddhinath jha) নামে এক তরুণ সাংবাদিককে অপহরণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হল। বছর ২২-এর এই সাংবাদিকের (journalist) মৃত্যুতে নীতীশ কুমারের (nitish kumar) রাজ্য জুড়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

বুদ্ধিনাথ স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টালের (news portal) রিপোর্টার ছিলেন। কয়েকদিন আগেই নিজের ফেসবুকে রাজ্যের একটি ভুয়ো ক্লিনিকের খবর সামনে এনে ছিলেন তিনি। তাঁর রিপোর্টের কারণে এলাকার বেশ কয়েকটি ভুয়ো ক্লিনিকে তল্লাশি চালায় পুলিশ। বেশ কয়েকটি অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েকটি ক্লিনিককে মোটা টাকা জরিমানা করা হয়। ওই ঘটনার পরেই বুদ্ধিনাথের কাছে একাধিক হুমকি ফোন আসতে থাকে।

প্রতিটা ফোনেই তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। কেউ কেউ আবার বুদ্ধিনাথকে অনুরোধ করেন এ ধরনের খবর না লেখার জন্য। সেই জন্য তাঁকে বিপুল টাকা দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। কিন্তু বুদ্ধিনাথ কোনও প্রস্তাব মেনে নেননি। বরং তিনি রাজ্যে এ ধরনের হাজার হাজার ভুয়ো ক্লিনিক চক্রের খবর ক্রমশ সামনে আনতে থাকেন। তার পরিণতিতেই বুদ্ধিনাথকে অপহরণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল দুষ্কৃতীরা।

মঙ্গলবার রাতে বিহারের বেনিয়াপট্টির লোহিয়াচকে নিজের বাড়ির সামনে থেকেই দুষ্কৃতীরা বুদ্ধিনাথকে অপহরণ করেছিল। গত পাঁচ দিন ধরে তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। বুদ্ধিনাথের পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত মধুবনী (madhubani) জেলায় এক গ্রামে রাস্তার পাশ থেকে বুদ্ধিনাথের অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। বুদ্ধিনাথের বাড়ির লোকজন দেহটি শনাক্ত করে। ময়নাতদন্তের পর বুদ্ধিনাথের দেহ সৎকার করা হয়।

অন্যদিকে সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে খবর করার জন্য ত্রিপুরায় (tripura) দুই মহিলা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল পুলিশ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি ত্রিপুরায় মসজিদ ভাঙচুরের একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন দুই তরুণী সাংবাদিক। ওই দুই তরুণী সাংবাদিক অভিযোগ করেছিলেন, মসজিদ ভাঙার খবর করার জন্য ত্রিপুরা পুলিশ তাঁদের রীতিমত ভয় দেখাচ্ছে। পুলিশের বিরুদ্ধে আঙুল তোলার পরই দুই সাংবাদিকের নামে এফআইআর দায়ের করল পুলিশ। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের জন্যই ওই দুই তরুণী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ওই সাংবাদিকের নাম হল সমৃদ্ধি সাকুনিয়া (sakunia) এবং স্বর্ণা ঝা (swarna jha)।