WHO: বুস্টার ডোজ নিলেই ওমিক্রন থেকে বাঁচবেন, এমনটা নয় 

News Desk: বুস্টার ডোজ নিলেই যে ওমিক্রনের (omicron) হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে তা মোটেই নয়। কেউ যদি মনে করেন, তিনি বুস্টার ডোজ (buster dose)…

IMG 20211223 WA0049

News Desk: বুস্টার ডোজ নিলেই যে ওমিক্রনের (omicron) হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে তা মোটেই নয়। কেউ যদি মনে করেন, তিনি বুস্টার ডোজ (buster dose) নিয়েছেন তাই তাঁর ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তিনি অনায়াসেই উৎসবের আনন্দে মেতে উঠতে পারেন। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বড় ধরনের ভুল করবেন। বুধবার এই মন্তব্য করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (world health organisation) প্রধান।

সাংবাদিক সম্মেলনে অ্যাডহোম (adhome) বলেন, গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু প্রতিরোধ করতে করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বে প্রতিদিন যে পরিমাণ টিকা দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে ২০ শতাংশ বুস্টার ডোজ। অভিজ্ঞতা বলছে, প্রথম বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলির কাছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বাড়তি টিকা আছে। কিন্ত গরিব ও অনুন্নত দেশগুলিতে বেশিরভাগ মানুষই এখনও টিকার একটি ডোজও পাননি। উন্নত দেশগুলি যদি মনে করে, বুস্টার ডোজ দিলেই তারা করোনার হাত থেকে রেহাই পাবে তবে তারা ভুল করছে। বরং সেক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণ আরও দ্রুত ছড়াবে।

তাই যে সমস্ত দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনও টিকা পায়নি সবার আগে সেই সমস্ত দেশগুলিতে টিকা পৌঁছে দেওয়া দরকার। অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যাচ্ছে, করোনার কারণে যে সমস্ত মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বা প্রাণ হারাচ্ছেন তাঁদের অধিকাংশই টিকা পাননি। তাই বুস্টার ডোজ নিয়ে মাতামাতি না করে বরং যারা করোনা টিকার একটি ডোজও পাননি তাঁদের টিকাকরণের উপর জোর দেওয়া দরকার। 

হু প্রধান আরও বলেন, বর্তমানে করোনার যে টিকাগুলি চালু আছে সেগুলি ওমিক্রন ও ডেল্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। তাই ওমিক্রন ঠেকাতে যে বুস্টার ডোজ দিতেই হবে তার কোন অর্থ নেই। বরং যত শীঘ্র সম্ভব বিশ্বের অন্ততপক্ষে ৪০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া দরকার। আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ বিশ্বের কমপক্ষে ৭০ শতাংশ মানুষকে যাতে টিকা দেওয়া যায় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। গোটা বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষ টিকা পেলে তবেই এই ভাইরাস প্রতিরোধের কাজ অনেকটাই এগিয়ে যাবে।

একাধিকবার টিকা বৈষম্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন হু প্রধান। বুধবার তিনি বলেছেন, আর এক সপ্তাহের মধ্যেই বড়দিন ও নববর্ষের মত দুটি বড় ধরনের উৎসব রয়েছে। কিন্তু মানুষ যেন উৎসবে অবাধ মেলামেশা না করেন। বরং বাড়ি থেকেই উৎসব পালন করতে মানুষকে পরামর্শ দিয়েছেন অ্যাডহোম। 

যারা ওমিক্রন আক্রান্ত বা সন্দেহজনক আক্রান্তের কাছাকাছি যাবেন তাঁরা যেন অবশ্যই সবধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। বিশেষ করে তাঁদের অবশ্যই মেডিকেল মাস্ক পড়তে হবে। বদ্ধ জায়গায় এন-৯৫ জাতীয় মাস্ক পড়লে অনেকটাই নিরাপদ থাকা যাবে।